দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগামী ২৫ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে তারা ভারত সফরের জন্য ক্যাম্পে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জাতীয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব।
তিনি বলেন, সব আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের যা ডিমান্ড ছিল সবই শুনে দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য বোর্ড ডিরেক্টররাসহ বৈঠকের সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বস্ত হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথম শ্রেণীর খেলোয়াড়রা মাঠে যাবেন আগামী শনিবার থেকে (২৬ অক্টোবর)। আর আমরা ন্যাশনাল টিম ২৫ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ক্যাম্পে যাবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের পরই বলতে পারবো খুশি কি না। তবে আমরা আলোচনা নিয়ে খুশি।
এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, পারিশ্রমিক, অ্যালাউন্স যা যা সুনির্দিষ্টভাবে বাড়ানোর দরকার, তা আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে দেখবো। আর অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য যে দাবি-দাবি দাওয়া রয়েছে, সেগুলোও আমরা বাস্তবায়ন করবো। তবে এগুলোতো এখনই সম্ভব নয়। আমরা দেশের সব জায়গায় একসঙ্গেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করবো। এর বাইরে যে দু’টি লিগ্যাল দাবি এসেছে আইনজীবীর মাধ্যমে, আমরা সে দু’টি নিয়ে কোনো কথা বলবো না। ওগুলো আমরা আসার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লিগ্যাল টিমের কাছে পাঠিয়েছি। সেটা দেখে পরবর্তীতে সমাধানের চেষ্টা করবো।
এর আগে নিজেদের পুরোনো ১১ দফা বাড়িয়ে ১৩-তে নেন ক্রিকেটাররা। গুলশানের একটি হোটেলে এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। তিনি জানান, বিসিবি’কে ক্রিকেটারদের হয়ে ১৩টি দাবি একটি চিঠি আকারে দিয়েছেন। পরে, জাতীয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসলে সমস্যার সমাধান হবে।
আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাকিব /ছবি- শোয়েব মিথুন
ঢাকা: দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগামী ২৫ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে তারা ভারত সফরের জন্য ক্যাম্পে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জাতীয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব।
তিনি বলেন, সব আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের যা ডিমান্ড ছিল সবই শুনে দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য বোর্ড ডিরেক্টররাসহ বৈঠকের সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বস্ত হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথম শ্রেণীর খেলোয়াড়রা মাঠে যাবেন আগামী শনিবার থেকে (২৬ অক্টোবর)। আর আমরা ন্যাশনাল টিম ২৫ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ক্যাম্পে যাবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের পরই বলতে পারবো খুশি কি না। তবে আমরা আলোচনা নিয়ে খুশি।
এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, পারিশ্রমিক, অ্যালাউন্স যা যা সুনির্দিষ্টভাবে বাড়ানোর দরকার, তা আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে দেখবো। আর অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য যে দাবি-দাবি দাওয়া রয়েছে, সেগুলোও আমরা বাস্তবায়ন করবো। তবে এগুলোতো এখনই সম্ভব নয়। আমরা দেশের সব জায়গায় একসঙ্গেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করবো। এর বাইরে যে দু’টি লিগ্যাল দাবি এসেছে আইনজীবীর মাধ্যমে, আমরা সে দু’টি নিয়ে কোনো কথা বলবো না। ওগুলো আমরা আসার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লিগ্যাল টিমের কাছে পাঠিয়েছি। সেটা দেখে পরবর্তীতে সমাধানের চেষ্টা করবো।
এর আগে নিজেদের পুরোনো ১১ দফা বাড়িয়ে ১৩-তে নেন ক্রিকেটাররা। গুলশানের একটি হোটেলে এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। তিনি জানান, বিসিবি’কে ক্রিকেটারদের হয়ে ১৩টি দাবি একটি চিঠি আকারে দিয়েছেন। পরে, জাতীয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসলে সমস্যার সমাধান হবে।
এরপরই আলোচনার জন্য ক্রিকেটাররা বিসিবিতে যান। আর আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফলপ্রসূ আলোচনার কথা বলেন।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির মুখে জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘২৪ কোটি টাকা ১৫ জনকে বোনাস দিয়েছি আমরা। শুধু পারফরম্যান্সের জন্য এটা কেউ দেয় নাকি? কী পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা ওদের বাড়ানো হচ্ছে, কল্পনা করা করা যায় না। আর সেই টাকার জন্য তারা খেলা বন্ধ করে দিবে? এটা আমার বিশ্বাস হয় না। এটা যদি এমন হতো যে, ওরা আমাদের কাছে বলেছে আর আমরা রাজি হইনি। তাহলে বলা যায়, মতপার্থক্য আছে। কিন্তু কোনো দিন কাউকে কিছু বলল না। এটা তো আশ্চর্যজনক ব্যাপার।
‘একটা বিষয় বলি, সাকিবের সঙ্গে সর্বশেষ যেদিন দেখা হয়, সেদিনও সে টাকার কথা বলেছে। সে বলল, বিশ্বকাপে এত ভালো খেললাম, আপনি আমাকে বোনাস দিলেন না। আমার টাকাটা দিয়ে দেন। আমি বললাম, ঠিক আছে, আপার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে একটা অনুষ্ঠান করে দেওয়া যায় কিনা দেখি। কই কোনোদিন তো বলেনি এসব কথা।’
গত সোমবার (২১ অক্টোবর) বেতন ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন ক্রিকেটাররা। এতে আসন্ন ভারত সফর নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। তবে বুধবার রাতে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের আলোচনা সফল হওয়ায় ভারত সফরের সব শঙ্কা কেটে গেলো।
সূত্র, বাংলানিউজ২৪.কম